নিজের একটি ব্যবসা দাঁড় করানো মোটেও সহজ কাজ নয়। শুধু বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করলেই হয় না—এর সঙ্গে দরকার একাগ্রতা, দৃঢ় উদ্যোক্তা মানসিকতা এবং সফলতার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা। তবে উদ্যোক্তা হতে চাওয়া কোনো নারীর জন্য পথটা আরও কঠিন। কারণ, ব্যবসার প্রতিটি ধাপেই তাকে পুরুষদের তুলনায় অতিরিক্ত বাধা অতিক্রম করতে হয়। ব্যবসার জগৎ এখনো অনেকাংশেই ‘বয়েজ ক্লাব’ হিসেবে বিবেচিত। সফল ব্যবসা পরিচালনার অন্যতম বড় সম্পদ হলো শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, যা এখনও মূলত পুরুষদের নিয়ন্ত্রণেই। আর্থিক পুঁজি বা বিনিয়োগ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও নারীরা প্রায়ই হতাশ হন, কারণ অনেক বিনিয়োগকারী এখনো নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে প্রত্যাশিত আস্থা দেখাতে পারেন না। এর বাইরে পরিবার ও সমাজের অধিকাংশ দায়িত্ব এখনো নারীর কাঁধেই থাকে, যা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তবুও আশার জায়গা আছে। এসব বাধা ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে নারীরা নতুন নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিচ্ছেন এবং তাদের অনেকেই উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করছেন। নারী উদ্যোক্তাদের এমন অনুপ্রেরণাদায়ী সাফল্যের গল্পই তুলে ধরা হয়েছে ইএম৩৬০টেক ডটকমের আলোকে আজকের এই আয়োজনে।

উইটনি উল্ফ হার্ড: উইটনি উল্ফ হার্ড বিশ্বের অন্যতম সফল নারী উদ্যোক্তা এবং জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ বাম্বলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। “নারীরাই প্রথম পদক্ষেপ নেবে” নীতির মাধ্যমে তিনি অনলাইন ডেটিংয়ের প্রচলিত ধারা বদলে দিয়েছেন, যেখানে নারীর সম্মতি ছাড়া পুরুষ ব্যবহারকারী কথোপকথন শুরু করতে পারে না। মাত্র ৩১ বছর বয়সে বাম্বলকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী নারী হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন এবং তরুণ স্বনির্মিত নারী কোটিপতিতে পরিণত হন। তাঁর নেতৃত্বে বাম্বল আজ ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে ডেটিংয়ের পাশাপাশি বন্ধুত্ব ও পেশাগত নেটওয়ার্কিংয়েও বিস্তৃত হয়েছে। টিন্ডারের সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা উইটনি পরে যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাম্বল প্রতিষ্ঠা করেন। এখন তিনি নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় প্রযুক্তিখাতে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর।

মেলানি পার্কিন্স: অস্ট্রেলিয়ার কোটিপতি উদ্যোক্তা মেলানি পার্কিন্স গ্রাফিক ডিজাইনকে সহজলভ্য করে বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আনেন তাঁর তৈরি প্ল্যাটফর্ম ক্যানভার মাধ্যমে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি দেখেন প্রচলিত ডিজাইন সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করা কঠিন—সেখান থেকেই জন্ম নেয় সহজ-ব্যবহারযোগ্য ডিজাইন টুল ক্যানভার ধারণা। ২০১৩ সালে সঙ্গী ক্লিফ অবরেখ্ত এবং বন্ধু ক্যামেরন অ্যাডামসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ক্যানভার যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে বিনিয়োগ পেতে কষ্ট হলেও ক্যানভার ড্রাগ-অ্যান্ড-ড্রপ সুবিধা, টেমপ্লেট লাইব্রেরি এবং ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস দ্রুতই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে ক্যানভার মাসিক ব্যবহারকারী ৬ কোটির বেশি, আর ইন্টেল ও জুমের মতো বড় কোম্পানিও এর পেইড সেবা ব্যবহার করে। মেলানি পার্কিন্স এখন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের একজন। ক্যানভার বর্তমান বাজারমূল্য ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা এটিকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ‘ইউনিকর্ন’ কোম্পানিতে পরিণত করেছে।

অ্যান বডেন: অ্যান বডেন যুক্তরাজ্যের প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটাল ব্যাংক স্টারলিং ব্যাংক–এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিইও। শূন্য থেকে তৈরি এই মোবাইলভিত্তিক ব্যাংক তাকে যুক্তরাজ্যে ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকারী প্রথম নারী হিসেবে ইতিহাসে স্থান দেয়। অ্যালায়েড আইরিশ ব্যাংক ও রয়্যাল ব্যাংক অফ স্কটল্যান্ডে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং কম্পিউটার সায়েন্সের পটভূমি থেকে অ্যান বুঝতে পারেন—অ্যাপভিত্তিক, সহজ ও নিরাপদ ব্যাংকিং ভবিষ্যতের পথ। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দা তাকে প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতা আরও স্পষ্ট করে দেয়। বেশির ভাগ ফিনটেক স্টার্টআপ যেখানে দ্রুত বিস্তারের দিকে ঝোঁক দিত, অ্যান সেখানে প্রথম থেকেই স্টারলিং ব্যাংককে লাভজনক ও টেকসই করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁর এই সতর্ক কিন্তু দৃঢ় কৌশল সফল হয়; স্টারলিং এখন যুক্তরাজ্যের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল ব্যাংক। ২০১৪ সাল থেকে স্টারলিং ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে এবং আজ এটি যুক্তরাজ্যের হাতে গোনা কয়েকটি নারী-প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনিকর্ন’ কোম্পানির একটি। যদিও অ্যান বডেন ২০২৩ সালে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি এখনও তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছে।

কিরণ মজুমদার-শ: ভারতে বায়োটেকনোলজির সমার্থক নাম কিরণ মজুমদার-শ—একজন দূরদর্শী নারী উদ্যোক্তা, যিনি শূন্য থেকে শুরু করে লাইফ সায়েন্স খাতে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান বায়োকন গড়ে তুলেছেন। ১৯৭৮ সালে মাত্র দুজন কর্মী নিয়ে নিজ গ্যারেজ থেকে বায়োকনের যাত্রা শুরু হয় শিল্প এনজাইম তৈরির মাধ্যমে, পরে ধীরে ধীরে এটি ওষুধশিল্পে বিস্তৃত হয়। কিরণের নেতৃত্বে বায়োকন বায়োসিমিলারস—বিশেষ করে সাশ্রয়ী ইনসুলিন ও জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনে—বিশ্বের অন্যতম পথপ্রদর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পায়। আজ বায়োকন শীর্ষস্থানীয় বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, যার রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইনসুলিন উৎপাদন ফ্যাক্টরি। স্বল্পমূল্যে আধুনিক চিকিৎসা সহজলভ্য করার মাধ্যমে কিরণ মজুমদার-শ শুধু ভারতের নয়, বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

রেশমা সৌজানি: রেশমা সৌজানি ‘গার্লস হু কোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রযুক্তিখাতে নারী ও মেয়েশিশুদের ক্ষমতায়নের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। আইন ও রাজনীতিতে ক্যারিয়ার শুরু করলেও—এমনকি ২০১০ সালে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী হিসেবে কংগ্রেসে প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও—তিনি শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোকে নিজের মিশন হিসেবে বেছে নেন। নারীদের প্রযুক্তি খাতে অপ্রতুল উপস্থিতি দূর করতে গড়ে ওঠা ‘গার্লস হু কোড’ আজ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ২০টির বেশি দেশে সাড়ে চার লাখেরও বেশি মেয়েকে কোডিং শিক্ষা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ফ্রি কোডিং প্রোগ্রাম, আফটার-স্কুল ক্লাব এবং বিভিন্ন ওয়ার্কশপের মাধ্যমে মেয়েদের প্রযুক্তি জগতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করছে। রেশমার কাজ শুধু কোডিং শেখানো নয়—তিনি মেয়েদের ঝুঁকি নিতে, ভুলকে ভয় না পেতে এবং প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। তাই তাঁর সফলতা আর্থিক মাপে নয়, বরং তরুণ নারীদের ওপর তাঁর গভীর ইতিবাচক প্রভাবেই প্রতিফলিত। তিনি এমন এক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন, যা প্রযুক্তি খাতে বাস্তব পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেরিল স্যান্ডবার্গ: মেটার সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গ প্রযুক্তি জগতে চেনা নাম। তিনি কেবল একজন অত্যন্ত সফল নারী উদ্যোক্তাই নন বরং একজন প্রভাবশালী লেখক এবং নারী নেতৃত্বের সমর্থক। শেরিল ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মেটার সিওও ছিলেন। তিনি ‘লিনইন ডট ওআরজি’–এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা, যারা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। শেরিল দুটি সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের লেখক। প্রযুক্তি জগতে শীর্ষস্থানীয় নারী হিসেবে ৫৬ বছর বয়সী স্যান্ডবার্গ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নারীদের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম করেছেন। তাঁর সাফল্যের গল্প নারীদের জন্য শক্তিশালী প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

সুজান ওজসিকি: ইউটিউবের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুজান ওজসিকি প্রযুক্তি জগতের প্রসিদ্ধ নারী উদ্যোক্তাদের একজন ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু ইউটিউব নয়, বরং তারও আগে গুগলের আজকের অবস্থানে উঠে আসার পেছনেও সুজানের বড় ভূমিকা ছিল। ১৯৯৮ সালে সুজান ওজসিকির গ্যারেজটি ছিল গুগলের প্রথম অফিস। তিনি গুগলের ১৬তম কর্মী। ২০০৬ সালে ১৬৫ কোটি ডলারে ইউটিউব কিনে নেয় গুগল, এ সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সুজান ওজসিকির। তিনি ইউটিউবের ভেতর ভবিষ্যৎ ব্যবসার সম্ভাবনা দেখেছিলেন এবং সিইও হিসেবে প্ল্যাটফর্মটিকে অনলাইন ভিডিও কনটেন্টের একটি প্রভাবশালী কেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন। সুজান কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য সৃজনশীল পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জনের সুযোগও করে দেন। ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট সুজান ওজসিকি মারা যান।

গুয়ান ডিয়ান: গুয়ান ডিয়ান ‘প্যাটসন্যাপ’–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এবং মেশিন লার্নিংয়ে চালিত গবেষণা ও উন্নয়ন বিশ্লেষণ প্রদানকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে একটি ছোট দল নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান ডিয়ানের নেতৃত্বে দ্রুত উন্নতি করে এবং পেটেন্ট বিশ্লেষণে একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিতে পরিণত হয়। এই প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের বাজার, নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং প্রতিযোগীদের সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য প্রদান করে, যেন তাঁরা সচেতন হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বর্তমানে ডিয়ান প্যাটসন্যাপের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে প্যাটসন্যাপ বিশ্বব্যাপী ১২ হাজারের বেশি গ্রাহককে সেবা দান করছে, যার মধ্যে নাসা, আইবিএম এবং লেগোর মতো বড় প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। বাজারের নির্দিষ্ট চাহিদার প্রতি মনোযোগ, সম্পর্ক গড়ার দক্ষতা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা তাঁকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল নারী উদ্যোক্তাদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

অ্যান ওজসিকি: অ্যান ওজসিকি ‘২৩অ্যান্ডমি’–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এটি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জিনোমিক্স কোম্পানি। ‘২৩অ্যান্ডমি’–এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে। এটি সরাসরি গ্রাহকদের জিনগত পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। এই পরিষেবার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার পূর্বপুরুষ বা বংশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন এবং সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কেও ধারণা পেতে পারে। ওজসিকির নেতৃত্বে ‘২৩অ্যান্ডমি’ সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে জিন পরীক্ষাকে সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানির কাছে যে পরিমাণে জিনগত তথ্য জমা আছে চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং নতুন নতুন ওষুধ তৈরিসহ বিভিন্ন গবেষণা কাজে তা দারুণভাবে সহায়তা করতে পারবে।

সারা হলি: শেরিল স্যান্ডবার্গ মেটার সাবেক সিইও এবং প্রযুক্তি জগতের প্রভাবশালী নারী উদ্যোক্তা। ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি মেটার চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন এবং ‘লিনইন ডট ওআরজি’ নামে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক অলাভজনক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। শেরিল দুইটি সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের লেখকও। প্রযুক্তি খাতে শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ও নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছেন।

