জাপানের শাসক জোট দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন। রোববার (২০ জুলাই) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ও এর জোটসঙ্গী কোমেইতো প্রত্যাশিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
ভোট শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই কঠিন ফলাফল আমি গম্ভীরভাবে গ্রহণ করছি।” তবে তিনি জানান, তার মূল মনোযোগ এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা ঘিরে।
শাসক জোটের উচ্চকক্ষে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ৫০টি আসন প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তারা পেয়েছে মাত্র ৪৭টি। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। উল্লেখ্য, উচ্চকক্ষের অর্ধেক আসনে ভোট হয়েছে, এবং নির্বাচিত সদস্যরা ছয় বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফলাফল প্রধানমন্ত্রী ইশিবার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্ব নিয়ে ভোটারদের হতাশা প্রতিফলিত করে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে চালের দাম বৃদ্ধি, এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিগুলো সরকারবিরোধী মনোভাব উস্কে দিয়েছে।

এই পরিস্থিতি এলডিপির অভ্যন্তরে নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে সানাই তাকাইচি, সাবেক মন্ত্রী তাকায়ুকি কোবায়াশি এবং শিনজিরো কোইজুমির নাম।
তবে এখনই নেতৃত্বে পরিবর্তন এলে তা রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য আলোচনায় জাপানের অবস্থান দুর্বল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সোমবার (২১ জুলাই) সরকারি ছুটির কারণে টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ ছিল, তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ঘিরে।

