ইরানে প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় মুখ খুলল: রাশিয়া
ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ জানুয়ারি: ইরানে মিসাইল ছুড়ে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। এ ঘটনায় যখন বেশ চাপে তেহরান তখন মুখ খুলল রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় পাঁচটি দেশ একজোট হয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। রাশিয়া বলছে, ইরান মিসাইল ছোড়ার ঠিকে আগে অন্তত ৬টি মার্কিন যুদ্ধবিমান হামলার উদ্দেশ্যে ইরান সীমান্তে অবস্থান করছিল। সম্ভাব্য মার্কিন হামলার ওই খবরে ভড়কে গিয়েই ইরান ভুলবশত মিসাইল ছুড়ে ইউক্রেনের ওই প্লেনটি ভূপাতিত করে বলে জানায় তারা।
শুক্রবার মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। লাভরভ বলেন, ''ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন ইরান সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৬টি অত্যাধুনিক স্টিলথ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান অবস্থান করছিল। যদিও এ তথ্য আরও যাচাইবাছাইয়ের প্রয়োজন আছে।''
গত আট জানুয়ারি ভুলবশত ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত হয়। এ ঘটনায় তেহরান থেকে কিয়েভ হয়ে টরেন্টোগামী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটির... ১৭৬ আরোহীর সবাই প্রাণ হারান। হতভাগ্য এসব মানুষের মধ্যে ১৪৭ জনই ইরানি নাগরিক। বাকি ২৯ জন ইউক্রেন, কানাডা, সুইডেন, আফগানিস্তান ও ব্রিটেনের নাগরিক ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাঁচটি দেশ একজোট হয়ে এবার ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ক্ষতিপূরণ চাওয়ায় চরম কোণঠাসা ইরান। ইউক্রেনের যে বিমানে ইরান মিসাইল হামলা চালিয়েছিল, তার জন্য এ বার তেহরানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হল। বৃহস্পতিবার লন্ডনে কানাডার দূতাবাসে একজোট হয়েছিলেন কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা। নিহত যাত্রীদের প্রতি শোক প্রস্তাব জানিয়ে তারা একটি বৈঠক করেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ''দেশের আশপাশে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর জঙ্গিবিমানের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার কারণে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ইরানের একটি স্পর্শকাতর স্থাপনার আকাশে চলে আসায় ভুল করে সেটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।'' রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তার বক্তব্যে প্রকারান্তরে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করলেন।
মন্তব্য