রবিবার শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা
- জাতীয় - প্রশাসন
- ১৭ নভেম্বর ২০১৯ - ৫ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ২৫৭৪৭
ঢাকা, ১৬ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার: আগামীকাল রবিবার থেকে ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে এবং শেষ হবে ২৪ নভেম্বর। এবার এই দুই মাধ্যম থেকে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এএফএম মনজুর কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, "এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ছাত্র আর ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন ছাত্রী। অন্যদিকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় তিন লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন। এ হিসেবে এবার ইবতেদায়ীতে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩০ হাজার ৯৮৩ জন। এছাড়া এবার দুই মাধ্যমের পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন বেশি।"
তিনি বলেন, "প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী...
ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী দুটিতে মিলে তিন হাজার ৫৮৩ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এবার সারাদেশে সাত হাজার ৪৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশের বাইরে আটটি রাষ্ট্রের ১২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো- সৌদি আরব-৪, সংযুক্ত আরব আমিরাত-২, বাহরাইন-১, ওমান-১, কুয়েত-১, লিবিয়া-১, গ্রিস-১ ও কাতার-১। বিদেশে অবস্থিত কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থী আছে ৬১৫ জন। এর মধে ছাত্র ২৮৯ ও ছাত্রী ৩২৬ জন।"
ঘূর্ণিঝড় "বুলবুল"র কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যালয়গুলো দ্রুত মেরামত করার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদেরও পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি কথা জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, "সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তা সংশ্লিষ্ট থানা / ট্রেজারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া দুর্গম এলাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে।"
মন্তব্য