নয়াপল্টনকে অস্থিতিশীল করতে নাশকতা চলছে: ফখরুল
- রাজনীতি নির্বাচন - রাজনীতি
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ - ২ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ১৭৮০৮
ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবারঃ নয়াপল্টনকে অস্থিতিশীল করতে সরকারের এজেন্সিগুলো নাশকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, "বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসার সমানে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর ওপর নিপীড়নের নতুন আরেকটি মাত্রা। আমি সরকারের এমন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে কারারুদ্ধ করে রেখে, চিকিৎসার সব পথ রুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী সরকার।"
তিনি আরও বলেন, "বিএনপি চেয়ারপারসন বাসভবন অবরোধ করে, জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাকে মানসিক চাপে রাখা হচ্ছে। অবিলম্বের বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসার সামনে থেকে চেকপোস্ট ও ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার দাবি জানান ফখরুল।"
বিএনপি মহাসচিব বলেন, "গতকাল রাজশাহীর সমাবেশ শেষে ঢাকায় আসার পথে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নকে আমিন বাজার থেকে ডিবি উঠিয়ে ঢাকার দারুস সালাম থানায় নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা, অভিযোগ কিছুই নেই। শুধুমাত্র জনগণের আন্দোলনকে দমিয়ে ফেলার জন্য, ত্রাস সৃষ্টি জন্য বেআইনিভাবে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত গাড়ি এবং চালকের কোনো খবর আমরা পাইনি।"
তিনি বলেন,... "২০১৩-১৫ সালের পুরনো নাটকেরই পূণরাবৃত্তি করা হচ্ছে এই গণগ্রেপ্তার এবং নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে। চলছে মেস ও আবাসিক হোটেলে জঙ্গিদের উপস্থিতি সন্দেহে পুলিশের ঘেরাও অভিযান। আমরা যার নমুনা দেখলাম বনানীতে।"
মির্জা ফখরুল বলেন, "আওয়ামী লীগ জঙ্গিদের কথা বলে দেশে জঙ্গি সৃষ্টি করতে চায়। অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলে অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়। তারা নিজেরাই চায়। সেই জন্য আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, মানুষকে প্রতারণা করার পথ থেকে সরে আসুন। ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা; গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে চালু করুন।"
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি টেনে ধরতে ১০ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পেছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে অবৈধ সরকার। অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশেও পুলিশ গ্রেপ্তার ও হয়রােইন করেছে, পথে পথে বাধা দিয়েছে, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সহিংস রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়েছে, তারপরেও জনতার স্রোততকে ঠেকাতে পারেনি।
সব বাধা বিপত্তিকে প্রতিহত করে মানুষ নদী সাঁতরে, ভেলায় ভেসে এসেছে। খালি পেটে, নগ্ন পায়ে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে মানুষ এসেছে। নৌকা ও ট্রলারে দীর্ঘ নদী পথ অতিক্রম করে সমাবেশস্থলে এসেছে। মাইলের পর মাইল সাইকেল চালিয়ে এসেছে। সমাবেশ শুরু হওয়ার ২-৩ দিন আগে থেকে মানুষ সমাবেশস্থলের আশেপাশে তাবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করেছে। এ সময় গত রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
মন্তব্য