সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ এয়ারলাইন্সের তালিকা, যেখানে জায়গা পায়নি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিশ্বখ্যাত স্কাইট্র্যাক্স (Skytrax) নামক এভিয়েশন রেটিং সংস্থার করা এ তালিকায় কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, ও এনা (ANA) এর মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো স্থান পেলেও, বিমান বাংলাদেশের অনুপস্থিতি আবারও প্রশ্ন তুলেছে এ সংস্থার সেবার মান, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা নিয়ে।
বিমান বাংলাদেশ বহুদিন ধরেই সমালোচনার মুখে রয়েছে বিলম্বিত ফ্লাইট, যাত্রীসেবা, রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটি এবং কর্পোরেট গভার্ন্যান্সের দুর্বলতার কারণে। একাধিকবার বিমানের বিমানে কারিগরি ত্রুটি, যাত্রী ভোগান্তি ও অনিয়ম সংবাদ শিরোনামে এসেছে। যদিও বিমান নতুন প্রজন্মের ড্রিমলাইনারসহ বেশ কিছু আধুনিক উড়োজাহাজ সংগ্রহ করেছে, তবে গ্রাহকসেবার মান, সময়ানুবর্তিতা এবং আন্তর্জাতিক রেটিংয়ের মানদণ্ডে উন্নয়ন এখনও দৃশ্যমান নয়।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলো শুধু প্রযুক্তি বা আধুনিক উড়োজাহাজ দিয়েই নয়, বরং পেশাদারিত্ব, যাত্রীসেবা, নিরাপত্তা ও সময়মাফিক পরিচালনার ভিত্তিতে এই তালিকায় স্থান পায়। বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক এভিয়েশন শিল্পে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে চায়, তবে শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, বরং বিমানের পরিচালন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার, দক্ষ জনবল নিয়োগ, সেবার মানোন্নয়ন ও দুর্নীতি রোধ করতে হবে। অন্যথায়, দেশের পতাকাবাহী এই সংস্থাকে আন্তর্জাতিক তালিকায় দেখা যাবে না, বরং ঘরোয়া সমালোচনার বৃত্তেই আবদ্ধ থাকবে

