ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। দিনের শুরুতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে ছাত্রীদের কেন্দ্রে লম্বা সারি চোখে পড়েছে।এই নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি কেন্দ্রে ছাত্ররা এবং বাকি চারটি কেন্দ্রে পাঁচটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
ছাত্রীদের কেন্দ্রে ভিড় ও ধীরগতির ভোটগ্রহণ
ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে কবি সুফিয়া কামাল হলের ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। সকাল ৯টার দিকে সেখানে দেখা যায় ছাত্রীদের দীর্ঘ সারি। একজন ভোটারকে একাধিক পদের জন্য ভোট দিতে হওয়ায় কেন্দ্রে প্রবেশে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৪৪৩ জন।

তবে ভোটগ্রহণ শুরুর নির্ধারিত সময় সকাল ৮টার চেয়ে প্রায় ২০ মিনিট পরে ভোট শুরু হওয়ায় ক্ষোভ ও ভোগান্তির মুখে পড়েন ভোটাররা। ভোটগ্রহণে দেরির কারণ হিসেবে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রস্তুতির ঘাটতি ও ব্যালট বাক্স দেখানোর প্রক্রিয়ার জন্য এই বিলম্ব হয়।
একই চিত্র দেখা গেছে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে, যেখানে শামসুন নাহার হলের ছাত্রীদের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটারদের কেন্দ্রে ঢোকাতে একাধিক লাইন করা হলেও দীর্ঘ সারি কমেনি। এখানে মোট ভোটার ৪,০৯৬ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা। এ কেন্দ্রেও ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভোটার সংখ্যা ৪,৭৫৫ জন।
তবে তুলনামূলকভাবে কম ভিড় দেখা গেছে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি), যেখানে রোকেয়া হলের ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। এই কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫,৬৬৫ জন ভোটার থাকলেও ভিড় ছিল নিয়ন্ত্রণে।
ভোটারদের অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ
ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভালো ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসছেন। লম্বা লাইনে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে, তবে তারা আগ্রহ নিয়েই অংশ নিচ্ছেন—এটা ইতিবাচক দিক।”
তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, “বিকেল ৪টার মধ্যে যারা লাইনে দাঁড়াবেন, তাদের সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে, সময় যতই লাগুক না কেন।