রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর | ২৭ অক্টোবর ২০২৫ — রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের অন্যতম খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লামনগর একাডেমি-তে আসন্ন অভিভাবক পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-কে ঘিরে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনা শুরু হয়েছে। লক্ষ্মীধরপাড়া, উদয়পুর, মুক্তারপুর, হাপানিয়া ও বিষ্ণুপুর গ্রামের অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা মনে করেন, এই নির্বাচন স্থানীয় শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিদ্যালয় পরিচালনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
আগামী ১১ নভেম্বর ২০২৬ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে সবাই প্রত্যাশা করছেন একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এলাকাবাসীর মতে, যদি যোগ্য, সৎ ও শিক্ষানুরাগী অভিভাবক সদস্যরা নির্বাচিত হন, তবে তারা স্কুল পরিচালনা কমিটিতে দক্ষ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন, যা বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

লামনগর একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ৫ আগস্ট ১৯৯৪ সালে। বিদ্যালয়টির EIIN নম্বর ১০৭০৮০, এবং এটি এনসিটিবি বাংলা কারিকুলাম অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করে আসছে ১৯৯৫ সাল থেকে। বিদ্যালয়টির ঠিকানা — গ্রাম ও ডাকঘর: লক্ষ্মীধরপাড়া, থানা: রামগঞ্জ, জেলা: লক্ষ্মীপুর।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা পালন করেন কয়েকজন দূরদর্শী ও সমাজনিবেদিত ব্যক্তিত্ব — বীরবিক্রম নূর নবি খান, ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, শহিদ উল্লাহ চৌধুরী এবং আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। পাশাপাশি, হাজি ফজলুল হক ও ইদ্রিস খানও বিদ্যালয়ের ভিত্তি গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও ত্যাগের ফলেই আজ এই বিদ্যালয় এলাকাবাসীর গর্বে পরিণত হয়েছে।

তাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাম ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি লামনগর একাডেমির উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। রামগঞ্জ উপজেলার একজন উদার মনের সমাজসেবক হিসেবে তিনি সর্বজনবিদিত। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন অবদান প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও সচেতন নাগরিকরা অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তাঁরা দায়িত্বশীলভাবে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই নির্বাচনের মাধ্যমে এমন একটি কার্যকর ও দূরদর্শী পরিচালনা কমিটি গঠিত হবে, যারা বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, মান ও মর্যাদা রক্ষা করে আগামী প্রজন্মের শিক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে।


