ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা এবং তার অন্যান্য ব্যবসার শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে তিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করতে সক্ষম হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের পরে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ৫০০.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা ফোর্বস বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সে ধরা পড়ে। যদিও দিনের শেষে এটি সামান্য কমে ৪৯৯ বিলিয়নের একটু বেশি স্তরে নেমে আসে। টেসলার পাশাপাশি তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই এবং রকেট নির্মাতা স্পেসএক্সের শেয়ার মূল্যের সাম্প্রতিক উত্থান মাস্কের ধনসম্পদকে আরও শক্তিশালী করেছে। এসব সাফল্য তাকে প্রযুক্তি জগতের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক দূরে এগিয়ে দিয়েছে।

ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি হলেন ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, যাঁর সম্পদ প্রায় ৩৫০.৭ বিলিয়ন ডলার। গত মাসে ওরাকলের শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়ে এলিসন এক সময়ে মাস্ককে ছাড়িয়ে যান। তবে বর্তমানে মাস্ক আবার শীর্ষ অবস্থানে ফিরে এসেছেন। বিবিসি বলেছে, মাস্কের বিশাল সম্পদের প্রধান উৎস টেসলা, যার প্রায় ১২ শতাংশ শেয়ার তার মালিকানায় রয়েছে। চলতি বছরে টেসলার শেয়ারের দাম ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার নিউইয়র্ক স্টকে টেসলার শেয়ার ৩.৩ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শেষ হয়।
টেসলার শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন যে মাস্ক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের চেয়ে এখন তার ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। এর আগে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এছাড়া, গত মাসেই মাস্ক প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের টেসলার শেয়ার ক্রয় করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানির প্রতি তার বিশ্বাসের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।


