ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্রার্থী এস এম ফরহাদ। নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এই জয় আমার একার নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সম্মিলিত বিজয়।” তিনি মনে করেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তার কাঁধে বর্তেছে এবং সেটি যথাযথভাবে পালনের জন্য তিনি প্রস্তুত। ফরহাদ বলেন, “জয় নয়, আমার কাছে দায়িত্ব বড়।

আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি—বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার, নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় আপসহীন থাকবো।” তিনি জানান, ডাকসুর মাধ্যমে তিনি ক্যাম্পাসে শিক্ষার মান উন্নয়ন, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, আবাসন সমস্যা, ক্যারিয়ার সাপোর্ট, স্বাস্থ্যসেবা এবং খাবারের মান নিয়েও কাজ করবেন। এ সময় তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করে বলেন, “আমি তাদের প্রতিযোগী নয়, সহযাত্রী মনে করি। সবাই মিলে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করব।” বিভিন্ন বিতর্কের মধ্যেও তিনি সংযত অবস্থান নিয়ে বলেন, “আমার সংগঠনের পরিচয় থাকলেও, দায়িত্ব পালনে আমি সবার প্রতিনিধিত্ব করবো।” তার এই প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের প্রত্যাশা ও আস্থার জন্ম দিয়েছে যে নতুন জিএস একজন দায়িত্বশীল ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব দেবেন।
তিনি আরও বলেন, “এই বিজয় আমার জন্য কোনো ব্যক্তিগত উৎসব নয়। বরং এটি একটি বড় দায়িত্ব, একটি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা যে প্রত্যাশা নিয়ে ভোট দিয়েছেন, তাদের সেই বিশ্বাস রক্ষা করা এখন আমাদের কর্তব্য। আমি চাই, প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন আমার উপদেষ্টা হয়। যদি আমি কখনো ভুল পথে হাঁটি বা সঠিক দিক থেকে বিচ্যুত হই, তারা যেন আমাকে সংশোধন করে দেন, সমালোচনা করেন, পথ দেখান।”সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ শিক্ষার্থীদের প্রতি তার দায়বদ্ধতার কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। বলেন, “এখন উৎসবের সময় নয়, বরং পরীক্ষার সময়। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের স্বার্থে কাজ করা।” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, জয় উপলক্ষে কোনো বিজয় মিছিল বা আনুষ্ঠানিক উদযাপন হবে না। তার ভাষায়, এই জয় কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায়ের বিষয়। শিক্ষার্থীদের দেওয়া এই আমানত আমরা যদি যথাযথভাবে রক্ষা করতে পারি, তাহলেই এই বিজয় সত্যিকার অর্থে সার্থক হবে।