ফুটবল খেলার প্রতি মানুষের ভালোবাসা পৃথিবীজুড়ে এতটাই গভীর, যে এর সাথে যুক্ত প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি খেলা, আমাদের মনে এক আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি করে। সাধারণত, ফুটবল মাঠ মানে ভূপৃষ্ঠের মাটির উপর একটি বিশাল মাঠ যেখানে বিভিন্ন দল তাদের স্কিল প্রদর্শন করে। কিন্তু এখন, ফুটবলের এই প্রচলিত দৃশ্য একেবারেই পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে, কারণ সৌদি আরব ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের জন্য একটি অভিনব প্রকল্প হাতে নিয়েছে—বিশ্বের প্রথম ‘স্কাই স্টেডিয়াম’। এই স্টেডিয়ামটি হবে আকাশে, এবং এর নাম রাখা হয়েছে ‘নিমো স্কাই স্টেডিয়াম’। সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’-এর অংশ হিসেবে এই স্টেডিয়ামটি নির্মিত হবে, যা সেই অঞ্চলের ভবিষ্যত শহর ‘দ্য লাইন’এ অবস্থিত থাকবে।

এই স্টেডিয়ামটি পৃথিবী থেকে ১,১৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হবে, যা পৃথিবীতে কখনোই কোনো ফুটবল স্টেডিয়াম এত উচ্চতায় তৈরি হয়নি। একটি অদ্ভুত, তবে অত্যন্ত প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, সৌদি আরব এই স্টেডিয়ামটির নির্মাণে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করার পরিকল্পনা করেছে। একে শুধু একটি ফুটবল স্টেডিয়াম বলা যাবে না, এটি হবে উদ্ভাবন, বিনোদন, এবং টেকসই উন্নয়নের এক নতুন প্রতীক। নিমো স্কাই স্টেডিয়ামে প্রায় ৪৬,০০০ দর্শক একসাথে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এই স্টেডিয়ামের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর নির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, যাতে করে এটি আধুনিকতার সাথে পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতাকেও তুলে ধরবে।

DPBS এর একজন সম্মানিত ক্লায়েন্ট সারা বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে আবায়া ও বোরখার ব্যবসা পরিচালনা করছেন, তিনি দৈনিক মাত্র $10–$15 বাজেটে দুর্দান্ত ফলাফল পাচ্ছেন!
আকাশে ফুটবল খেলার ধারণাটি একেবারে অভিনব, যেখানে মাঠের ওপরে থাকবেন দর্শকরা, এবং তারা শুধু খেলাই দেখতে পাবেন না, বরং আকাশের ভিন্ন এক মনোরম দৃশ্যও উপভোগ করতে পারবেন। সৌদি আরবের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত বেশ কিছু ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ ২০২৬ সালে শুরু হবে এবং ২০৩২ সালের মধ্যে এটি সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এমনকি, এই প্রজেক্টটি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ উদ্যোগের আওতায় উন্নত প্রযুক্তি, স্থাপত্যশিল্প এবং স্মার্ট সিটি নির্মাণের অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হবে।
এই অদ্ভুত প্রকল্পের মাধ্যমে সৌদি আরব ফুটবল বিশ্বকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেখানোর চেষ্টা করছে, যেখানে খেলাধুলার সাথে সাথে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং পরিবেশের সংমিশ্রণ ঘটানো হচ্ছে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে, তবে আগামী দশকে ফুটবল ক্রীড়াপ্রেমীরা হয়তো মাঠের বদলে আকাশে বসে খেলা দেখতে পারবেন, যা তাদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহকে নতুন এক দিগন্তে নিয়ে যাবে।

