ইসরাইল কর্তৃক ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার ফলে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ময়দা, জ্বালানি ও অন্যান্য উপকরণের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বেকারিগুলো এবং গাজার বাসিন্দারা এক টুকরো রুটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন।
গাজার বেকারি সমিতি জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে দিন পার করছেন অনেক ফিলিস্তিনি। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল, এবং গত ৩১ দিন ধরে ত্রাণ প্রবাহ বন্ধ থাকার ফলে খাদ্য সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘ এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলছে, গাজার মানবিক সহায়তা ইতিমধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং ইসরাইলের দাবি হাস্যকর। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, গাজায় প্রবাহিত মানবিক সহায়তার সঠিক হিসাব সংরক্ষণ এবং বিতরণে কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে, গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময়ও সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছানো হয়েছিল বলে দাবি করা হলেও, ইসরাইলি কর্মকর্তারা যে দাবি করেছেন, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গাজার উদ্ধারকর্মীদের জন্য এ মাসে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, কারণ গত সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একটি গণকবর থেকে ১৫ জন উদ্ধারকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গাজার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, গত বছর মার্চে যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছিল গাজার বাসিন্দারা, এবারও সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। গাজার এক বাসিন্দা বলেন, “গাজার পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে, মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে। সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ, কোনো সহায়তা আসছে না।”
এই সংকটের মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে, এবং গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং ইসরাইলের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রবাহে বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।