বাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সংশ্লিষ্ট দেশে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখনও কোনো নির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। ফলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই চলছে পুরো কার্যক্রম, যা হাজারো প্রবাসীর জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সেবাকে আরও কার্যকর করতে এবং সেবা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে এবার গাইডলাইন তৈরির পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় এনআইডি সেবা চালু রয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে ৪০টি দেশে এই কার্যক্রম বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু গাইডলাইন না থাকায় অনেক প্রবাসী সঠিকভাবে সেবার সুবিধা পাচ্ছেন না। সম্প্রতি এক বৈঠকে কর্মকর্তারা বিদেশে দূতাবাসে এনআইডি সংশ্লিষ্ট কর্মী নিয়োগ, সেবা চার্জ নির্ধারণসহ একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুনী কবীর বলেন, ‘প্রবাসীদের এনআইডি সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য গাইডলাইন থাকা জরুরি। এটি সেবাগ্রহীতাদের চাহিদা ও সমস্যাগুলো বিবেচনা করে তৈরি করা হবে। তবে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ায় স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া ওমান, বাহরাইন, জর্ডান, সিঙ্গাপুর, লেবানন, লিবিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মালদ্বীপেও শিগগিরই এনআইডি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সরবরাহের কার্যক্রম প্রথম শুরু হয় ২০১৯ সালে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার পর কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের সুযোগ চালু করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
করোনা মহামারির কারণে কিছুদিন থমকে থাকলেও কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন নতুন করে এ কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে। আগের আবেদনগুলো পর্যালোচনা না করে নতুনভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে গাইডলাইন না থাকায় সেবাপ্রাপ্তিতে জটিলতা দেখা দিচ্ছে, যা শিগগিরই সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।