বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজধানীর মিরপুর এলাকার সাবেক সমন্বয়ক তানিফা আহমেদ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তার মামা-মামি ও তাদের দুই সন্তান। বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তানিফার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি লেখেন, ‘তানিফা আহমেদ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।’
এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তানিফার মামা রফিকুল ইসলাম শামীম (৪৬), তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার সুমি (৩৫) এবং তাদের দুই মেয়ে, ৮ বছরের লিয়ানা ও আনীসা।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা জানান, মরদেহ উদ্ধার করার পর পরিচয় শনাক্তে কিছু সময় লেগেছে। গাড়িটিতে একই পরিবারের পাঁচজন ছিলেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আরও এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তানিফা আহমেদ।