ঈদুল ফিতর মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, আর ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে আনন্দ এবং মজার মজার খাবারের বাহারি আয়োজন। তবে ঈদের দিন অতিরিক্ত খাবারের দিকে ধাবিত হওয়ার আগে শরীরের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষত ৪০ পরবর্তী বয়সে খাবারের বিষয়ে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সকালের খাবার
ঈদের সকালে দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর হঠাৎ করে বেশি খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, ঈদের সকালে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। দুধ, চাল ও গুড় দিয়ে ঘরে তৈরি ফিরনি খেতে পারেন, যা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেল সরবরাহ করে। ফলের জুস বা ফলও সকালের খাবারে রাখতে পারেন। এছাড়া পাতলা পরোটা ও সবজি খাওয়া উপকারী। তবে, ঈদের দিন ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ মাংসের খাবার বেশি খাওয়া হয় এবং এতে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় থাকে।
দুপুরের খাবার
ঈদের দুপুরে খাবারের পরিমাণ খুব বেশি না রেখে ২-৩টি খাবার ভালোভাবে রান্না করা উচিত। এতে পুষ্টির অভাব হবে না। মাছের পদ, সাদা পোলাও বা খিচুড়ি এবং সবুজ সালাদ বা টক দই রাখতে পারেন। এসব খাবার হজমের জন্য ভালো এবং শরীরের জন্য উপকারী।
রাতের খাবার
ঈদের দিন দুপুরের খাবারের পর রাতের খাবারে অতিরিক্ত খাবার না রাখাই ভালো। সাদা ভাত বা রুটির সঙ্গে মুরগি বা গরুর কাবাব, অথবা সবজি বা মাংসের অন্যান্য পদ খেতে পারেন। চাইলে চায়নিজ ফুডও তৈরি করতে পারেন, যেগুলো তেল-মসলা কম থাকে এবং হজমে সুবিধা দেয়।
খাবারে কিছু সতর্কতা
ঈদের দিনে প্রচণ্ড গরমে হজমে সমস্যা হতে পারে, তাই খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি, শরবত, ফলের রস ও অন্যান্য তরল খাবার খাওয়া জরুরি। লেবুর রস, চিনি ও লবণ দিয়ে শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। এছাড়া ডাব, মাল্টা, আনারস বা লাচ্ছি খাওয়া শরীরকে হাইড্রেট রাখবে এবং খাবারের জন্য পেটে স্থান সৃষ্টি করবে।
ঈদের আনন্দে ভারী খাবারের দিকে ধাবিত হওয়া স্বাভাবিক, তবে শরীরের অবস্থা এবং বয়স অনুযায়ী খাওয়া মেনে চলা স্বাস্থ্যসম্মত। ঈদের দিন সুস্থ দেহে সতেজ মনে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করুন এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুশির মুহূর্ত কাটান।