কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্ক কার্নি ১৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। এর আগে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। অটোয়ার রিডো হলে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কানাডার গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমন সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে মার্ক কার্নির নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়, যা ২৩ জন মন্ত্রীর সমন্বয়ে গঠিত, এর মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।
মার্ক কার্নি, যিনি কানাডা এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন গভর্নর, ২০২৫ সালের ৯ মার্চ লিবারেল পার্টি অফ কানাডার নেতা নির্বাচিত হন। তিনি ৮৫% ভোট পেয়ে দলের নেতৃত্বে আসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড, কিন্তু কার্নি তাদের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অভিজ্ঞতা খুব কম হলেও, ব্যাংক অফ কানাডা এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডে তার নেতৃত্বের জন্য তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন।
মার্ক কার্নি কানাডার নর্থওয়েস্ট টেরিটোরিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরে তার পরিবার এডমন্টন প্রদেশে চলে আসে। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৪ সালে তাকে ‘অর্ডার অফ কানাডা’ খেতাবেও ভূষিত করা হয়।
মার্ক কার্নি এবং তার স্ত্রী ডায়ানা তাদের চার কন্যার বাবা-মা। তার স্ত্রীও একজন অর্থনীতিবিদ।
এদিকে, জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ৬ জানুয়ারি ২০২৫, যেখানে তিনি জানান, দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর তিনি পদত্যাগ করবেন। তার সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ এবং মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে হতাশা জন্মেছিল। এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হলেও, বিরোধী দলগুলো সমর্থন না দেওয়ায় সে প্রস্তাব বাতিল হয়। তবে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ এবং ট্রুডোর প্রতি দলীয় সদস্যদের সমর্থন হ্রাসের পর তার জন্য আরও চাপ সৃষ্টি হয়।
ফ্রিল্যান্ড, যিনি ট্রুডোর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন, পদত্যাগ করে একটি চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি ট্রুডোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, তিনি দেশের উন্নতির জন্য কাজ করার বদলে রাজনৈতিক ছলচাতুরী ব্যবহার করছেন।