ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মান্নার মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন এই গুণী অভিনেতা।
তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা মান্না একসময় ঢালিউডের সফলতার প্রতীক ছিলেন। তার সিনেমা মানেই ছিল হলভর্তি দর্শক আর ব্যবসাসফল ছবি। তার শূন্যতা আজও স্পষ্ট ঢাকাই সিনেমায়।
প্রয়াত এই নায়কের জীবনকাহিনি নিয়ে সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন তার স্ত্রী শেলী মান্না। তিনি জানান, মান্নার মৃত্যু রহস্যের মামলার কার্যক্রম শেষ হলেই সিনেমার কাজ শুরু হবে। শেলী মান্না বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মান্নার জীবন নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করছি। ইতিমধ্যে একটি রাফ চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। তবে আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। যখন শেষটা জানা যাবে, তখনই সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য তৈরি করে কমপ্লিট সিনেমা বানানো সম্ভব হবে।’
প্রতিবছরের মতো এবারও মান্নার মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। শেলী মান্না বলেন, ‘মৃত্যুবার্ষিকী বেদনাদায়ক একটি দিন। এখানে উৎসবের কিছু নেই। তবে আমরা পারিবারিকভাবে দোয়ার আয়োজন করেছি। পাশাপাশি সারা দেশে তার ভক্তরাও মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে থাকেন।’
১৯৮৪ সালে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধান’ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে পা রাখেন মান্না। নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে তিনি প্রথম সিনেমায় সুযোগ পান। তার অভিষেক সিনেমা ‘তওবা’ হলেও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ছিল ‘পাগলী’। তবে তিনি দর্শকদের নজরে আসেন ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে।
এরপর ‘দাঙ্গা’, ‘ত্রাস’, ‘অন্ধ প্রেম’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘দেশদ্রোহী’-এর মতো সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনি ঢালিউডের শীর্ষ নায়কদের একজন হয়ে ওঠেন। ১৯৯৯ সালে ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’র মতো সুপারহিট সিনেমা উপহার দেন মান্না।
আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীরা তাকে ভালোবাসায় স্মরণ করে এবং তার শূন্যতা ঢালিউডে অনুভব করে।